https://fundingsidenote.com/v4xk9yrw?key=519cda61f8f27f7c12bbbf9ac95b7f0e কেমন বাংলাদেশ চাই?

কেমন বাংলাদেশ চাই?

কেমন বাংলাদেশ চাই?

স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশটির সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। যেখানে রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকে। যেখানে সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নিয়ম ও প্রতিষ্ঠান দ্বারা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অধিকার সুরক্ষিত থাকে। শাসন, আইন ও বিচার বিভাগ- রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভ গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনসহ জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রয়েছে। আর যে গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়- তারা প্রজাতন্ত্রে সুশাসন নিশ্চিত হচ্ছে কি না তার নির্মোহ পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে। দেশ এগিয়ে যাবে, মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। অর্থনৈতিক মুক্তি মিলবে জাতির। এমন বাংলাদেশই আমরা চাই। এ লক্ষ্যেই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। ‍
তিপ্পান্ন বছর পর স্বাধীন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে, বুকে-মাথায় লাল-সবুজের গর্বিত পতাকা নিয়ে আরও এক রক্তরঞ্জিত বিজয় অর্জন করল দেশের তেজোদীপ্ত তারুণ্য। তাদের দৃঢ় প্রত্যয়ের পাশে এসে দাঁড়ানো স্বতঃস্ফূর্ত জনতার অকুণ্ঠ সমর্থন জন্ম দিল এক উজ্জ্বল ‘চব্বিশ’ এর। যাকে বলা হচ্ছে দ্বিতীয় বিজয়। এখন নতুন বাংলাদেশ গঠনের আলোচনা চারদিকে। কেমন বাংলাদেশ চায় আপামর জনগণ? যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি অঙ্কুরেই বিনষ্ট করার পদ্ধতি চালু থাকবে। দুরাচার-দুঃশাসনের কণ্ঠরোধ হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগই থাকবে না। সুষ্ঠু ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে, জাতিকে মননে-মেধায়-চর্চায় সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলতে হবে। না হলে বারবার সরকার বদলে ‘গরম কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায়’ পড়ার অবস্থা হবে; মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
এই কাজগুলো করতে অন্তর্বর্তী সরকার সচেষ্ট থাকবে বলে আশা করি। বৃহতের শপথ ও সাধনা তাদের, লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে চলবে না। কারণ আজ যারা ভালোবাসা, সম্মান ও শ্রদ্ধায় মাথায় তুলে নিয়েছেন সমাজ-রাষ্ট্র থেকে বৈষম্য-অনাচার-অবিচার, দুরাচার-দুঃশাসন-দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে সর্বস্তরে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায়, এতে ব্যর্থ হলে অদূর ভবিষ্যতে কেউ কিন্তু কাউকেই ছেড়ে কথা বলবে না।

Post a Comment

0 Comments